"সৌন্দর্য উপভোগের জন্যও মূল্য দিতে হয়- সেটা হচ্ছে তোমার মনোযোগ।"
বৈশাখী প্রিয় কবিতা উৎসব – হারুর সাথে

কবিতা প্রেমের রাজধানী। এই প্রেম শুধুমাত্র কপোত-কপোতীর প্রেম না। কবিতা সবার আগে মানুষকে নিজের প্রেমে মজতে শেখায়। কবিতা অসময়ে ছায়া দেয়, সুসময়ে ছায়া দিতে শেখায়। কবিতা মানুষের বুকের ভেতরের কথা বলে।
পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উপলক্ষে আমরা জানতে চেয়েছিলাম আপনাদের প্রিয় কবিতাগুলো। মাত্র একদিনের নোটিশে এই আয়োজন আমরা করতে চেয়েছিলাম। ভয়, শঙ্কা দুটোই ছিলো। কিন্তু আপনাদের উৎফুল্ল অংশগ্রহণ আমাদের শুধু সাহস যোগায়নি, দিয়েছে অনুপ্রেরণাও। আপনাদের প্রিয় কবিতাগুলো নিয়ে আমাদের এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
আজকে থাকছে হারুর প্রিয় কবিতাগুলো নিয়ে আয়োজন। আশা করি তার প্রিয় কবিতাগুলো আপনাদেরও ছুঁয়ে যাবে।
আমি সম্ভবত খুব ছোট কিছুর জন্য – হুমায়ুন আজাদ
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো
ছোট ঘাসফুলের জন্যে
একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো চৈত্রের বাতাসে
উড়ে যাওয়া একটি পাঁপড়ির জন্যে
একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে।
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
দোয়েলের শিসের জন্যে
শিশুর গালের একটি টোলের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো কারো চোখের মণিতে
গেঁথে থাকা একবিন্দু অশ্রুর জন্যে
একফোঁটা রৌদ্রের জন্যে।
আমি সম্ভবতখুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
এক কণা জ্যোৎস্নার জন্যে
এক টুকরো মেঘের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো টাওয়ারের একুশ তলায়
হারিয়ে যাওয়া একটি প্রজাপতির জন্যে
এক ফোঁটা সবুজের জন্যে।
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে
খুব ছোট দুঃখের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে
একটি ছোটো দীর্ঘশ্বাসের জন্যে
একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।

তোমার চোখ এত লাল কেন – নির্মলেন্দু গুণ
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক।আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেক্ট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করুক:
আমার জল লাগবে কিনা, নুন লাগবে কিনা।
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না।
এঁটো বাসন গেজ্ঞি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক।কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক: ’তোমার চোখ এত লাল কেন?’
কথোপকথন ১১ – পুর্ণেন্দু পত্রী
– তুমি আজকাল বড্ড সিগারেট খাচ্ছ শুভঙ্কর।
– এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি।
কিন্তু তার বদলে?
– বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো ?
– খেয়েছি।
কিন্তু আমার খিদের কাছে সে সব নস্যি।
কিন্তু কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারি আমি।
আকাশটাকে ওমলেটের মত চিরে চিরে
নক্ষত্রগুলোকে চিনেবাদামের মত টুকটাক করে
পাহাড়গুলোকে পাঁপড় ভাজার মত মড়মড়িয়ে
আর গঙ্গা ?
সেতো এক গ্লাস সরবত।
– থাক খুব বীরপুরুষ।
– সত্যি তাই।
পৃথিবীর কাছে আমি এইরকম ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ।
কেবল তোমার কাছে এলেই দুধের বালক
কেবল তোমার কাছে এলেই ফুটপাতের নুলো ভিখারী
এক পয়সা, আধ পয়সা কিংবা এক টুকরা পাউরুটির বেশি
আর কিছু ছিনিয়ে নিতে পারি না।
– মিথ্যুক।
– কেন ?
– সেদিন আমার সর্বাঙ্গের শাড়ি ধরে টান মারনি ?
– হতে পারে।
ভিখারীদেরর কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করে না একদিনও ?

নিঃসঙ্গতা — আবুল হাসান
অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত শোভা, অত স্বাধীনতা!
চেয়েছিল আরো কিছু কম,
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে
বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিল
মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!
অতটুকু চায়নি বালিকা!
অত হৈ রৈ লোক, অত ভীড়, অত সমাগম!
চেয়েছিল আরো কিছু কম!
একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিল
একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!

প্রাক্তন – জয় গোস্বামী
ঠিক সময়ে অফিসে যায়?
ঠিক মতো খায় সকালবেলা?
টিফিনবাক্স সঙ্গে নেয় কি?
না ক্যান্টিনেই টিফিন করে?
জামা কাপড় কে কেচে দেয়?
চা করে কে আগের মতো?
দুগগার মা ক’টায় আসে?
আমায় ভোরে উঠতে হত
সেই শার্টটা পরে এখন?
ক্যাটকেটে সেই নীল রঙ টা?
নিজের তো সব ওই পছন্দ
আমি অলিভ দিয়েছিলাম
কোন রাস্তায় বাড়ি ফেরে?
দোকানঘরের বাঁ পাশ দিয়ে
শিবমন্দির, জানলা থেকে
দেখতে পেতাম রিক্সা থামল
অফিস থেকে বাড়িই আসে?
নাকি সোজা আড্ডাতে যায়?
তাসের বন্ধু, ছাইপাঁশেরও
বন্ধুরা সব আসে এখন?
টেবিলঢাকা মেঝের ওপর
সমস্ত ঘর ছাই ছড়ানো
গেলাস গড়ায় বোতল গড়ায়
টলতে টলতে শুতে যাচ্ছে
কিন্তু বোতল ভেঙ্গে আবার
পায়ে ঢুকলে রক্তারক্তি
তখন তো আর হুঁশ থাকে না
রাতবিরেতে কে আর দেখবে।
কেন, ওই যে সেই মেয়েটা।
যার সঙ্গে ঘুরত তখন।
কোন মেয়েটা? সেই মেয়েটা?
সে তো কবেই সরে এসেছে!
বেশ হয়েছে, উচিত শাস্তি
অত কান্ড সামলাবে কে!
মেয়েটা যে গণ্ডগোলের
প্রথম থেকেই বুঝেছিলাম
কে তাহলে সঙ্গে আছে?
দাদা বৌদি? মা ভাইবোন!
তিন কূলে তো কেউ ছিল না
এক্কেবারে একলা এখন।
কে তাহলে ভাত বেড়ে দেয়?
কে ডেকে দেয় সকাল সকাল?
রাত্তিরে কে দরজা খোলে?
ঝক্কি পোহায় হাজার রকম?
কার বিছানায় ঘুমোয় তবে
কার গায়ে হাত তোলে এখন
কার গায়ে হাত তোলে এখন?

ভারত এক খোঁজ – জয়দেব বসু
বিশেষ কারণে এত বছর পর আমি অযোধ্যা এলাম,
মাননীয় বিচারক,
এলাম আমার মায়ের জন্মভূমি খুঁজতে।
না, আমার কী ধর্ম আমি জানিনা,
জানিনা আমার বাবা কে,
আমার মা-ও জানত না এসব।
আমার মা মুন্নাবাঈ জন্মেছিল এখানেই এক ঝোপড়ায়,
কোন্ পুরুষের ঔরসে তার জন্ম তা ঠাহর করে
বলতে পারেনি আমার দাদীও, সেক্ষেত্রে জাতপাতের কথা তো ওঠেই না,
মা শুধু জানত কে তার মা,
মাননীয় বিচারক,
একে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলা যায় কিনা ভেবে দেখবেন,
যদিও পরিবার শব্দটার অর্থই আমার কাছে পরিষ্কার না।
বরং শুনুন, বালক বয়সে বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়ে বসার আগে
কী আমি দেখেছিলাম?
ভালো মনে নেই আমার, তবু সেই জলহীন, আলোহীন,
পয়ঃপ্রণালীহীন ঘুপচি ঝোপড়া,
ভিখিরি, জোচ্চোর, দাগী, মাতাল… আর
কোন কোন মধ্যরাতে আচম্কা হুইসেল…
ঘরে ঢুকে পড়ত পেটমোটা উন্মত্ত থানেদার…
মুখে মদের গন্ধ… পান খাওয়া কুৎসিত হাসি…
মা আমাকে ঠেলে বার করে দিত- সেই রাত,
সেই অসংখ্য নক্ষত্রের রাত, সোনালী হ্যালোজেনের রাত আমি কাটিয়ে দিতাম রাস্তার পাশে
দেয়ালে ঠেস্ দিয়ে,
অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারতাম
ঠিক কতদিন পর থেকে মা আবার শুরু করবে বমি…
বাস, এইতো সব। অযোধ্যা ছেড়ে আসার পর আমি কী কী করি
তা এখানে প্রাসঙ্গিক নয়। মাননীয় বিচারক,
আমি শুধু শুনেছিলাম, যৌবন থাকতে থাকতেই ঝোপড়া থেকে দালান,
তা থেকে শীষমহল পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল আমার মা;
তারপর, জীবনের লাথ্ খেতে খেতে ঝোপড়ায়
ফিরেই সে মরে।
চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠার জন্য মাফ করবেন,
কিন্ত এত বছর পর মায়ের জন্মভূমি খুঁজতে এসে
কী আমি দেখলাম?
কেউ বলেছে- এখানে এসেছিলেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাড়া খাওয়া এক বাদশা।
আমি জানিনা পৌরণিক কোন চরিত্রের পক্ষে
জন্ম নেওয়া আদৌ সম্ভব কিনা, আমি জানিনা এতদিন আগে আসা
কোন সেনানীর পদচ্ছাপ এতটাই নিশ্চিত কিনা,
কিন্ত, আমি জানি আমার মা এখানে জন্মেছিল- এখানেই,
কেননা, আমিও যে জন্মেছি এখানে।
আমার এন্তেকালের ভয় নেই, আখেরাতের লোভ নেই,
মন্দার বা অমৃত আমাকে আকৃষ্ট করে না,
শুধু এই ঝোপড়ার জন্য- এই জন্মভূমির জন্য আমার রোযা-আমার উপবাস
অষ্টপ্রহর প্রার্থনা-পাঁচওয়াক্ত নামাজ,
মাননীয় বিচারক,
রহম্ করুন, আমার মাতৃভূমি আমায় ফিরিয়ে দিন।
ফিরিয়ে দিন আমি মরিয়া হয়ে ওঠবার আগেই।

দেবী তোমাকে ছোঁয়া যায় না – সরকার মুহম্মদ জারিফ
চালধোয়া পানির মত
গ্রামীণ গন্ধের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে –
এক অপূর্ণ সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয়েছিলে আমার।
রাতের মত, শীতের রাতের মত
সে তুমি এক বিপর্যস্ত নেশা।
ইতিহাস থেমে গেছে তোমায় উদার পটভূমি ভেবে ,
এক সন্ধ্যায় জরাজীর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিকে সাজিয়েছ আকাশগ্রন্থিতে ,
নির্বিকার হয়ে সোডিয়াম বাতিকে করেছ সন্ধ্যাপ্রদীপ
আমার পূর্ণ পূর্ণ অপূর্ণতা পরিপূর্ণ হচ্ছে
তুমি বেজে উঠছ পিয়ানোর রীডে
পৃথিবীর ব্যাকগ্রাউন্ডে রবিশংকরের সেতারে
চৌরাসিয়া, লুদভিকো একে একে পেরিয়ে
স্যট্রিয়ানি অথবা গিলমারের গিটারে
দেবী, তুমি অনিয়ন্ত্রিত অনবদ্য এক ইন্সট্রুমেন্টাল ।
সান্ধ্যকালীন সূর্যকে গোলাপী আভা করে
নখের উপরে আশ্রয় দিয়েছ,
এই বেখেয়াল সূর্য তোমার
উল্লসিত খোলা চুলকে চিন্তা করে –
মাটিতে ইনকাম ট্যাক্সের দাবি হয়ে
মিশে গেছে।
আংটির নাম করে যে অহংকার তোমার আঙুলে জড়িয়ে থাকবে আজীবন
আমিও যৌথ হব তার সাথে
তোমার চারিপাশ মুখরিত অজস্র খরগোশের নিনিটিক হাসিতে
ভাল্লুক হয়ে আমি এসেছি
এসেছি কিছু অভিজ্ঞ অন্ধকার নিয়ে
নিখুঁতভাবে সমর্পণ করেছি নিজেকে
দুঃখী দুঃখী চিরসুখী ফরম্যাটে।
আমার দেবী, আমার কল্পনা, আমার হাইপারস্পেস ।
আমার দিকে তাকাও –
আমি খসে যাওয়া ইলেকট্রনের আকুতি
গৃহস্থালী দুর্দশায় আক্রান্ত গবাদি পশুর অবাধ্যতা
পরাবৈদ্যুতিক বিভ্রমে খুঁজে বেড়াচ্ছি বিশ্রাম
পর্ন ম্যাগাজিনের জোড়া লেগে যাওয়া দুটি পৃষ্টার মধ্যবর্তী
আটকে পড়া প্রাচীন বীর্যের-
জাগতিক নিষ্ফলতার অত্যুক্তি ছাপিয়ে
কেঁপে উঠছি
আমি কেঁপে কেঁপে উঠছি ।
আমার সমস্ত আকাশ ফটোকপি করে রেখেছ ;
আমি যেন আটকে গেছি
আমি আটকে গেছি নিশ্চিত
অনিশ্চয়তায় ।
ফিটফাট মার্জিত সন্ধ্যার শরীরে
মুহূর্তের খেয়ালে ছড়ালে উন্মাদ ঘূর্ণিঝড়;
ঝড় শেষে আমি তবু ক্ষতিই চাই
ক্ষতিপূরণ চাই না দেবী।
খিচুরি খিলখিল সকালে-
আমার প্রতিকাপ চায়ে তোমার চুমুক মিশে থাকে;
সফেদ সুফিদের চুল দাড়ি থেকে নিয়ে আসো অলৌলিক স্যূরিলিয়াজম ,
অচল নোটকে সচল করে পাঠিয়ে দাও স্ট্রাটোস্ফিয়ারে,
নীলক্ষেত , ফুলার রোড , চানখাঁরপুলের শীতরাতগুলো
তুমি ভরিয়ে দাও কিছু হাস্নাহেনার গন্ধে।
হলুদ রঙের ট্রাক দেখলেই নেশা লাগে চোখে
জংধরা অসভ্যতায় ঝাঁপ দিতে মন চায় ,
আমার মনে পড়ে যায় –
রাস্তাঘাট জিনিসটা আমি কোনকালেই ভালভাবে বুঝতে পারিনি
আমি মঙ্গাপীড়িত ,শীতার্ত কিংবা বন্যার্ত কেউ না
সহযোগিতার হাত চাই না, সহযোগিতার ঠোঁট চাই।
ফিরে তাকাও দেবী!
নির্বোধ আমিও এখন উন্মাদ চরমপন্থী,
আর কতবার দেখব অসহ্য নৈঃশব্দ্যের দিগ্বিদিক জলাঞ্জলী ?
অন্ধ উষ্ণতায় ছারখার হবে স্বর্ণগর্ভ ফসলের ক্ষেত ,
বেপরোয়া প্রেমিকের মত আগুন চাই ।
তাবৎ অসুস্থতা দিয়ে –
আমাকে সুস্থ কর
আমাকে সুস্থ কর!
অথবা
নিরুত্তাপ কণ্ঠে মৃত্যুর আদেশ দাও
এক্ষুণি এনে দাও বীভৎস দুঃসময়
আমাকে ধ্বংস কর
আমার শেষ হোক তবে
আমাকে ছুঁড়ে ফেল আস্তাকুঁড়ে
দেবী তোমাকে ছোঁয়া যায় না
দেবী তোমাকে ছোঁয়া যায় না
দেবী তোমাকে ছোঁয়া যায় না
তবুও নিজের ভেতর লালন করি স্পর্শের শাশ্বত সৎসাহস ।

প্রিয় কবিতার এই পাঠককে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত দারুণ সব কবিতা শেয়ার করার জন্য। আশা করি তার পাঠক জীবনে তিনি আরো দারুণ সব কবিতা পড়ার সৌভাগ্য পাবেন। তার জন্য শুভকামনা।
আপনিও যদি নিজের প্রিয় কবিতাটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিতে চান, পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে। আমরা সেটা ভাগ করে নেব আরো অসংখ্য পাঠকের সাথে।
আমাদের অন্যান্য আয়োজনের সঙ্গী হতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে, নিয়মিত ভিজিট করুন লণ্ঠনে। যোগ দিন শিল্পের এক নতুন উৎসবে।